মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে

14 December 2023

মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে গভীর শ্রদ্ধাভরে পালিত হয়েছে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ২০২৩। দিবসটি উপলক্ষে আশুলিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের সেমিনার হলে আজ ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩ (বৃহস্পতিবার) সকালে আয়োজন করা হয় শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠান। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আব্দুছ ছবুর খান এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিং, সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির ডিন ও ফার্মেসি বিভাগের প্রধান ড. নারগিস সুলতানা চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের তাৎপর্য নিয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইন বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন রেজিস্ট্রার ড. মো. মোয়াজ্জম হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন স্কুল অব আর্টস অ্যান্ড হিউম্যানিটিসের ডিন ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রধান ড. মোহাম্মদ ওবায়দুল্লাহ, স্কুল অব বিজনেস অ্যান্ড ইকোনোমিকসের ডিন ও ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের প্রধান মো. মাহবুব আলম। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আব্দুছ ছবুর খান শিক্ষকদেরকে 'ক্লাসে ক্লাসে ছাত্র-ছাত্রীদের সামনে বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্তিযুদ্ধে বুদ্ধিজীবীদের ভুমিকা তুলে ধরার আহবান জানিয়ে' বলেন, শিক্ষার্থীদের মাঝে জ্ঞানের মশাল জালিয়ে দিতে হবে। তাহলেই জাতি ও সভ্যতা এগিয়ে যাবে। চিন্তায়, মননে, গঠনে, অবয়বে, অবকাঠামো সব দিকেই দেশ আরও সমৃদ্ধশালী হবে। একই সঙ্গে দেশের উন্নতি ও অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে। তিনি যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ ব্দ্ধুীজীবী দিবস পালনের জন্য ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতীয় ছুটি ঘোষণার দাবি জানিয়ে বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য মুক্তিযুদ্ধে আমাদের অর্জন ও বুদ্ধিজীবীদের অবদান জাতির কাছে, নতুন প্রজন্মের কাছে সে ভাবে তুলে ধরতে পারিনি। আমি আশা করবো আমাদের শিক্ষকেরা সেই অর্জনগুলো ছাত্রদের কাছে তুলে ধরবেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয় এবং শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন স্কুল অব আর্টস অ্যান্ড হিউম্যানিটিসের ডিন ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রধান ড. মোহাম্মদ ওবায়দুল্লাহ।